পুজো ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ ওপার বাংলাতেও। তবে এই পুজোর আমেজ ম্লান করতে তৎপর মৌলবাদীরা। আগেই রিপোর্ট ছিল, দুষ্কৃতীরা শেখ হাসিনা প্রশাসনকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে দুর্গাপুজোর মাঝে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্ট করতে সক্রিয় জঙ্গীরা। কিন্তু প্রশাসনের সময়োচিত হস্তক্ষেপে তা বড় আকারে ঘটতে পারেনি। বড়সড় ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গিয়েছে। কুমিল্লা কাণ্ডে দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে, ভবিষ্যতে এমন করতে কেউ সাহস না পায়।”
এদিন রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৃহস্পতিবার মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটি আয়োজিত দুর্গাপুজোর মহানবমীর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির বলেন সরকার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়, “যে ঘটনা ঘটেছে, সে ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, আমরা সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছিলাম। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে সেখানেই তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। আমরা অতীতেও করেছি এবং আমরা সেটা করতেও পারব। যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে, ভবিষ্যতে এমন করতে কেউ সাহস না পায়।” হাসিনা আরও বলেন, “আপনার সবাই ভাল থাকুন, সেটা আমরা চাই। আওয়ামি লিগ গণমানুষের দল। আওয়ামি লিগের জন্ম হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।”
পাশাপাশি হিন্দুদের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, “আমি আপনাদের আবারও অনুরোধ করব, আপনার কখনওই নিজেদেরকে সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা আপনাদের সংখ্যালঘু নয়, আপনজন বলেই মানি। আমাদের এই দেশের নাগরিক হিসেবে মানি। সমঅধিকারে আপনারা এখানে বসবাস করেন। আপনারা সমঅধিকার ভোগ করবেন। সমঅধিকার নিয়ে আপনাদের ধর্ম পালন করবেন, উৎসব পালন করবেন। সেটাই আমরা চাই।” এদিকে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরান অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনের দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। নিহতদের মধ্যে এক কিশোরও আছে। এদের সকলের মৃতদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবারই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।