আজ বিজয়া দশমী। উৎসবের বাতাসে বিষাদের সুর। এবার উমার শ্বশুরবাড়ি ফেরার পালা৷ আবার একবছরের অপেক্ষা। কিছুক্ষণ পরেই মণ্ডপে শুরু হবে দেবী-বরণের প্রস্তুতি৷ তারপর সিঁদুর খেলা, কোলাকুলিতে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে বলে ওঠা, আসছে বছর আবার এসো মা৷
শ্রীশ্রীচণ্ডী অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়া দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করা হয়।দেশ জুড়েই পালিত হয় এই উৎসব। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দুর্গার জয় কিংবা রাবণকে পরাস্ত করতে রামের বিজয়লাভের মধ্য দিয়েই অঞ্চলভেদে পালিত হয় বিজয়া দশমী এবং দশেরা উৎসব।
প্রথা মেনে দশমীর সকাল থেকেই বেলুড় মঠে বিশেষ পুজো। সন্ধেয় বিসর্জন। বেলুড়ের মূল মন্দিরে আরতির পর শুরু হবে উমা বিদায়ের মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান৷ এরপর প্রথা মেনে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। শোভাবাজার রাজবাড়িতে রীতি মেনে প্রথমে দর্পণে প্রতিমা নিরঞ্জন। এরপর দেবীকে বরণ করবেন রাজবাড়ির মহিলা সদস্যরা। কনকাঞ্জলি দিয়ে শুরু হবে উমার বিদায় পর্ব।
দেবীকে বিদায় জানাতে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়েছে বিসর্জনের প্রস্তুতি। এদিকে, দূষণ রোধে তৎপর কলকাতা পুরসভা। কৃত্রিমভাবে জলাশয় তৈরি করে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে হোসপাইপ দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে প্রতিমার রং। এরপর ক্রেন দিয়ে গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে নিয়ে যাওয়া হবে ধাপায়। বিসর্জন উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি।