একটা সময় মাত্র ১৭ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারে বল করতে এসে পরপর দুই বলে শাকিব আল হাসান ও সুনীল নারাইনকে আউট করে কেকেআর-এর উপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ছয় রান। ওভারের চতুর্থ বলে ছয় মেরে নাইটদের জেতান রাহুল ত্রিপাঠি।
প্রথম পর্বে ভাল খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় পর্বে দারুণ ভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসেছে কেকেআর। শুধু লড়াইয়ে ফেরাই নয় ফাইনালে উঠে গিয়েছে তারা। ইতিবাচক মানসিকাই বদলে দিয়েছে তাঁদের দলকে। এমনটাই জানালেন ত্রিপাঠি। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম পর্বে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। তবে ইতিবাচক ছিলাম। সেই কারণেই সাফল্য এসেছে।’’
কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দলকে জেতাতে পেরে তৃপ্ত রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘দারুণ লাগছে। দলের জয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভাবিনি ১৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে এত বেগ পেতে হবে। ১৮তম ওভারে কাগিসো রাবাডা দারুণ বল করে দিল্লীকে ম্যাচে ফিরিয়েছে।’’
শেষ ওভারে নেমেই ছয় মারতে গিয়ে আউট হন নারাইন। তবে নিজে ছয় মেরে দলকে জেতান রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘এই উইকেটে নেমেই চার, ছয় মারা সহজ নয়। মাঝেমাঝেই বল নীচু হয়ে যাচ্ছে। শেষ ছয়টা মারতে পেরে দারুণ লাগছে। যদি ছয় মারার মত বল নাও পেতাম তবে ডিপে ঠেলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করতাম। লকি ফার্গুসনকেও আমি এটাই বলেছিলাম। দুই রান নিতে না পারলে দৌড়তাম না।’’