একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বাংলায় তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আরও জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের অন্যতম ‘কল্পতরু প্রকল্প’। যেখানে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ সরাসরি রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে টানা দু’বছরের বেশি সময় ধরে অতিমারীর সংকটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প যে কতটা মানবিক তা হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছে সাধারণ ও গরিব মানুষ।
বাংলায় এখনও বহু মানুষ, বহু পরিবার রয়েছেন, যাঁরা ভাল-মন্দ তো দূরের কথা, পেটভরে দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পর্যন্ত পান না। শারদোৎসবের দিনগুলিতে যখন সবাই মেতে উঠেছেন, তখন নিজেদের অন্ন সংস্থান করতেই ব্যস্ত এই মানুষগুলি। এবার পুজোয় এই সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুশান্ত ঘোষ। গত বছরের মতো এ বছরও পুজো ও উৎসবের মরশুমে ‘মমতাময়ী ক্যান্টিন’ চালু করেছেন সুশান্ত ঘোষ।
এপ্রসঙ্গে সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, “এই শহর ও রাজ্যে বহু দরিদ্র পরিবার রয়েছে যাঁরা পুজোর সময় নতুন জামা-কাপড় তো দূরের কথা, পেটপুরে দু-বেল দু-মুঠো খেতেও পান না, সারাবছর তাঁরা আধপেটা খেয়ে চালান। পুজোর কটা দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত তাঁর ওয়ার্ডে ৫০০ জনকে ভাত, মাংস, মাছ, ডাল, তরকারি খাওয়াবো। তবে অষ্টমীতে সকলকে নিরামিষ তরকারি ভাত খাওয়াবো।” ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলের পেছনে বেশ বড় একটা হেঁশেল তৈরি করেছেন সুশান্তবাবু। যেখানে মুরগির মাংস, ডাল, তরকারী, ভাত রান্না হচ্ছে। প্রত্যেকটি খাবারের গুণ মান বজায় রাখা হচ্ছে। মানুষ লাইন দিয়ে সেই খাবার সংগ্রহ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এমন মহান উদ্যোগ বলেই জানিয়েছেন সুশান্ত।