এবারে কলেজের ‘গরবা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অভিযোগে বজরং দলের রোষের মুখে পড়ল চার মুসলিম যুবক। তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, কলেজে ঢুকে ভাঙচুরও চালায় তারা। এদিকে অভিযুক্তদের বদলে পুলিশ ওই চার পড়ুয়াকেই আটক করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই চার পড়ুয়াকে আটক করেছেন তাঁরা। সে কথা মানতে নারাজ পড়ুয়াদের পরিবার। বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের অক্সফোর্ড কলেজ ‘গরবা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অংশ নেন আদনান শাহ, মহম্মদ উমর, আবদুল কাদের এবং সায়েদ সাকিব। তাদের নিশানা করে বজরং দল। শেষপর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা। আবার কোভিডবিধি ভঙ্গ করায় কলেজ কর্তৃপক্ষকেও মোটা টাকা জরিমানা করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আক্রান্ত আদনান শাহ ওই কলেজেরই বিকমের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তিনি অনুষ্ঠানের ভলান্টিয়ার ছিলেন। সাইকেল স্ট্যান্ডের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। বজরং দলের সদস্যরা সাইকেল স্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালায়। আদনান কেন অনুষ্ঠানে রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। ওই কলেজের ছাত্র হওয়ার প্রমাণপত্র দেখিয়েও মেলেনি রেহাই। আদনানের মতো বাকি তিনজনকেও হেনস্থা করা হয়। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। এদিকে এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে আক্রান্তের পরিবার। তাদের প্রশ্ন, “গরবা অনুষ্ঠানে মুসলিম ছেলেমেয়ে অংশ নিতে পারবেন না, এমন কথা কি ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে?” নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।