আরও ৪০ টি নতুন কয়লা খনির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে কয়লা মন্ত্রক। এর মধ্যে ২১ টি নতুন খনি, কয়লা খনি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৫ এর অধীনে এবং ১৯ টি খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৫৭ এর তিনটি ধারার অধীনে রয়েছে।
একটি বিবৃতি প্রকাশ করে কয়লা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘এই ৮৮ টি খনি থেকে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন টন কয়লার মোট ভূতাত্ত্বিক সম্পদ পাওয়া যাচ্ছে, যার মধ্যে ৫৭ টি খনি সম্পূর্ণভাবে খনন করা হয়েছে এবং ৩১ টি আংশিকভাবে খনন করা হয়েছে। এখানে চারটি কোকিং কয়লা খনি রয়েছে’।
কেন্দ্রীয় কয়লা, খনি ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী একটি অনুষ্ঠানে বলেন, কয়লা মন্ত্রক এবং ভারত সরকার কয়লা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য একটানা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারত বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবার নিচে রয়েছে এবং দেশের দূরতম গ্রামাঞ্চলেও সংযোগের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। কয়লা আগামী ৩৫-৪০ বছর দেশের জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে’।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের ঘাটতির বিষয়টিকে অনেক রাজ্য তুলে ধরায়, জোশি বলেন যে বৃষ্টির কারণে কয়লার ঘাটতি হয়েছিল যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে, কয়লার ঘাটতি ছিল, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেড়ে প্রতি টন ৬০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে। পরবর্তীতে, আমদানি করা কয়লার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি হয় ১৫-২০ দিনের জন্য বন্ধ থাকে অথবা খুব কম উৎপাদন করে। এটি দেশীয় কয়লার ওপর চাপ সৃষ্টি করে’।