বিলগ্নীকরণ নীতি নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের সংস্কারমূলক সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নিয়েও জোরদার সওয়াল করেছেন তিনি। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন, লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহণ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ। সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের সূচনায় মোদী বলেন, “দেশে আগে কখনও এত সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সরকার আসেনি। যেভাবে সরকার সাফল্যের সঙ্গে লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ করেছে তা এই সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং সব বিষয়কেই তারা কত গুরুত্ব দেয়, সেই চিত্রই তুলে ধরেছে। সরকারি ক্ষেত্র সম্পর্কে সরকারের নীতি হল যে ক্ষেত্রগুলি প্রয়োজন নেই সেগুলো বেসরকারি উদ্যোগের জন্য উন্মুক্ত করা উচিত।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। সিদ্ধান্তের কথা বলতে তিনি যে বিলগ্নীকরণের জন্য দরজা খুলে দেওয়ার বিষয়টিকেই সামনে রাখতে চাইছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিলগ্নীকরণ নীতি বারবারই মোদী সরকারকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে।
উল্লেখ্য, মোদী নিজেই বিলগ্নীকরণের পক্ষে সওয়াল করে তার পালটা জবাবই দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি আগামী দিনে তাঁর সরকার যে বিলগ্নীকরণকে আরও গুরুত্ব দিতে চলেছে এদিন তিনি স্পষ্টভাবে সেই বার্তাও দিয়ে রাখলেন। মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান করেন তিনি। জাতীয় স্বার্থেই এই আবেদন এবং কেন্দ্র সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র লক্ষ্যে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও প্রধানমন্ত্রীর সুরেই মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের উপর জোর দেন। সদ্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু তাতে দমে যায়নি মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যই ইঙ্গিত, আগামী দিনে আরও অকেজো সরকারি সম্পত্তি বিক্রি হতে চলেছে।