তাঁদের নিরাপত্তা রক্ষায় সব ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর প্রশাসন। কিন্তু সরকারের আশ্বাসবাণীতে আস্থা রাখতে পারছেন না উপত্যকার হিন্দু পণ্ডিতরা। তাঁদের এক বড় অংশ ইতিমধ্যে অফিসে যাওয়া বন্ধ করেছেন। অনেকে জম্মুতে আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে পণ্ডিতরা জম্মুতে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে রীতিমতো ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে।
কাশ্মীরের মাট্টান কলোনি থেকে জম্মুতে আশ্রয় নেওয়া এক পণ্ডিত জানান, ‘আমি সরকারি চাকরি করি। এক দশকের বেশি সময় আমি একটি কলোনিতে বাস করতাম। ২০০৩ সালে আমার কোনও ভয় ছিল না। ২০০৮-০৯ সালেও আমি ভয় পাইনি। এমনকি ২০১৬ সালে যখন বুরহান ওয়ানি মারা গেল, ২০১৯ সালে যখন ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করা হল, তখনও আমাদের কোনও ভয় ছিল না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। কাশ্মীরে সকলেই ভয় পাচ্ছে।’
পরে তিনি বলেন, প্রশাসন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “জম্মুতে আমাদের আত্মীয়রা রয়েছে। তারা আমাদের বার বার বলছিল, কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়ে এস।’ অপর এক কাশ্মীরী পণ্ডিত বলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষই উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে আসতে চান। অনেকে ইতিমধ্যে পালিয়ে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে কাশ্মীরে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকজনকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গীরা। গত কয়েকদিনে যে সংখ্যালঘুরা জঙ্গীদের হাতে মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন কাশ্মীরী পণ্ডিত মাখন লাল বিন্দ্রো। তিনি ছিলেন ফার্মাসিস্ট। এছাড়া মারা গিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপিন্দর কাউর, স্কুলশিক্ষক দীপক চাঁদ এবং বিহার থেকে আসা হকার বীরেন্দ্র পাসোয়ান।