একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে গত বছর রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মেতেছিল গেরুয়া শিবির। তবে ভোটে ভরাডুবির পর একুশের পুজোর আগে অনেকটাই নিস্তেজ তারা। এমনকী আজ, মহাষষ্ঠীর দিনে যেখানে দেবী দুর্গার বোধন, সেখানে রবিবার রাত পর্যন্তও বিজেপির দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না। পরিস্থিতি যা, তাতে সোমবার বিকেলে পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাতেই।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর এ বছর দুর্গাপুজো করায় খুব একটা উৎসাহী ছিলেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শাস্ত্রীয় বিধান বলছে, একবার করলে, অন্তত পরপর তিনবার পুজো করতেই হয়। সেই রীতির গ্যাঁড়াকলে ফেঁসেই শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুজো করতে নিমরাজি হতে হয়েছে সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষদের। সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে পুজোও হচ্ছে ‘নমো নমো’ করে। গতবারের সেই ধুমধাম, জাঁকজমকের প্রায় কিছুই নেই সেখানে।
উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে গতবার রাজ্য বিজেপির পুজো উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বছর শেষ মুহূর্তে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বোধনের জন্য জে পি নাড্ডাকে চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এজন্য নয়াদিল্লীর দীনদয়াল মার্গের সদর দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সোমবার দুপুর ১টা থেকে ২টো বা বিকেল ৪টে থেকে ৫টায় পুজো উদ্বোধনের জন্য সর্বভারতীয় সভাপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত পর্যন্তও নাড্ডার পুজো উদ্বোধন করা নিয়ে কোনও উত্তর আসেনি দিল্লি থেকে। ফলে বিকল্প উদ্বোধনের পথ বাছাই করতে এদিন একদফা আলোচনা সারতে হয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতাদের। সেখানেই ঠিক হয়েছে, সর্বভারতীয় সভাপতিকে না পাওয়া গেলে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই উদ্বোধন করবেন। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকালে পুজোমণ্ডপে যাবেন। তারপর তিনি মেদিনীপুরে গিয়ে একাধিক পুজো উদ্বোধন করবেন।