গত একসপ্তাহে সাত জন কাশ্মীরিকে খুন করেছে জঙ্গিরা। এঁদের মধ্যে ৫ জনই হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন। এরকম পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে ৭০০ জনকে আটক করল প্রশাসন। তাদের সঙ্গে জামাত-ই-ইসলামি-সহ একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরা শ্রীনগর, বাদগাম ও দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্যান্য জায়গার বাসিন্দা।
এক সিনিয়ার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আমরা আক্রমণের চেনটা ব্রেক করতে চাইছি। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন শক্তি বাড়াচ্ছে। এর পর থেকেই সহজ লক্ষ্য খুঁজে নিয়ে কাশ্মীরে খুন করা হচ্ছে একের পর এক সাধারণ নাগরিককে। এই গণআটকে ওদের শক্তিতে টান পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ২ স্কুল শিক্ষক। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে সুপেন্দর কউর ও দীপ চাঁদ নামে দুই শিক্ষককে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত সপ্তাহেই মঙ্গলবার শ্রীনগরের ইকবাল পার্কের মাখনলাল বিন্দ্রু নামে এক ওষুধের দোকানদার খুন হন। এদিনই মহম্মদ সাফি নামে এক ট্যাক্সি চালক ও বীরেন্দ্র পাসোয়ান নামে রাস্তার এক খাবার বিক্রেতা খুন হন। ওইসব খুনের ঘটনার সঙ্গে দ্যা রেনেসাঁ ফ্রন্ট নামে এক সংগঠন জড়িত বলে মনে করছে পুলিস। সংগঠনটি লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন।
অন্যদিকে, রবিবার মাঝরাতে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে এলাকায় এনকাউন্টার চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তখনই সেনার গুলিতে নিকেশ হয় এক জঙ্গি। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।এনকাউন্টার চলাকালীন জখম হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। কাশ্মীর পুলিশের তরফে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে।