তাঁর বিরুদ্ধে লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র সেই আকাশ মিশ্রকে ১২ ঘণ্টা জেরা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আর আজ, সোমবার তাঁকে তিনদিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠানো হল। পুলিশের বক্তব্য, জেরায় তিনি নানা প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে তিনি আদৌ সহযোগিতা করছেন না।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পাঁচদিন পরে গ্রেফতার হলেন আশিস। সাধারণত কারও বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ থাকলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। আশিস দ্রুত গ্রেফতার না হওয়ায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে হওয়ার জন্যই কি তিনি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন? উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ৩ অক্টোবর লখিমপুরে খেরিতে কৃষক হত্যার সময় তিনি কোথায় ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি কার্তুজের খোল পাওয়া গিয়েছিল।
এদিকে কৃষকরা অভিযোগ করেন, আশিস মিশ্রের বন্ধুরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। এর আগে অজয় মিশ্র দাবি করেছিলেন, লখিমপুরের ঘটনার সময় তাঁর ছেলে অন্যত্র একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওইদিন দুপুর দু’টো থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত তিনি সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। আবার, আশিসের ফোনের লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, লখিমপুরে কৃষক হত্যার সময় তিনি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিলেন।
গত শুক্রবারেই আশিসের পুলিশের সামনে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। সেদিন রাত অবধি পুলিশকর্তারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু তিনি শনিবারের আগে পুলিশের সামনে উপস্থিত হননি। মিডিয়ার নজর এড়ানোর জন্য শনিবার পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে থানায় ঢোকানো হয়।
ধরা পড়ার পরে আশিস পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ঘটনার সময়ে তিনি গাড়ি নিয়ে কোথাও যাননি। তিনি বলেন, ‘ওই থর জিপটি আমার। আমাদের ড্রাইভার হরিওম মিশ্র গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমার বন্ধু এবং বিজেপি কর্মী অঙ্কিত দাস ওই গাড়ির মালিক। তিনি গাড়ি দুটি নিয়ে প্রধান অতিথিদের আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি কোথায় গিয়েছেন আমি জানি না। ঘটনার পর থেকে অঙ্কিত আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।’