ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুকলি করল বিজেপি। ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে এ বার ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
ভোটের আগে মানুষের অভাব-অভিযোগ জানাতে ‘দিদিকে বলো’ বলে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এতে গত দশ বছরে রাজ্যবাসীর মধ্যে তৃণমূল সরকারের কাজ কিংবা স্থানীয় সমস্যার সমাধান না হওয়া নিয়ে মানুষের মনে যে অভিযোগ ছিল তা অনেকাংশে প্রশমনে সফল হয় শাসক শিবির। যার সুফল বিধানসভা ভোটে পান মমতা। এ বার অনেকটা সেই ধাঁচেই মন্ত্রীদের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ করে দিতে চাইছে বিজেপি।
বছর ঘুরলেই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। এর মধ্যে পাঞ্জাব বাদে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুর-এই চার ভোটমুখী রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কেন্দ্র ও রাজ্যে উভয় জায়গায় বিজেপি সরকার থাকায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক কারণে ওই রাজ্যগুলিতে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া যে রয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পিঠ বাঁচাতে পাঁচ বছরে সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার দায় মুখ্যমন্ত্রীদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে বেশ কিছু রাজ্যে সরকারের শীর্ষ পদে নতুন মুখ বসানোর সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। কিন্তু তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছে সম্প্রতি হওয়া একাধিক জনমত সমীক্ষা।
সূত্রের মতে, বিজেপি নেতৃত্ব যে আমজনতার পাশে রয়েছেন সেই বার্তা দিতে এ বার নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে সরাসরি জনতার অভাব-অভিযোগ মুখোমুখি বসে শুনবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিজেপি সূত্রের অবশ্য দাবি, মানুষ যাতে আরও বেশি করে সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অভিযোগ জানাতে পারেন এবং সমস্যার যাতে সমাধান হয় সেই লক্ষ্যেই দলের সমন্বয় শাখা ওই উদ্যোগ নিয়েছে।