শুক্রবার, হঠাৎ করেই উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের এক দলিত এলাকায় পৌঁছে যান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে গিয়ে আবারও ঝাঁটা হাতে তুলে নেন প্রিয়াঙ্কা। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে হত্যাকাণ্ড ঘটার পর, সেখানে যাওয়ার পথে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই প্রিয়াঙ্কাকে আটক করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তারপরে তাঁকে সীতাপুর গেস্ট হাউজে বন্দি করে রাখা হয়। সেখানেই নিজের জন্য বরাদ্দ ঘর, ঝাঁটা হাতে সাফাই করতে দেখা যায় সনিয়া তনয়াকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি।
ঝাঁটা হাতে ঘর সাফাই করতে থাকা প্রিয়াঙ্কার ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁর উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেসকে নিশানা করে যোগী বলেছিলেন ‘জনতা এদের এই ভূমিকাতেই দেখেতে চেয়েছে, তাই এই ভূমিকাতেই পাঠিয়ে দিয়েছে’। একটি বেসরকারি টিভি নিউজ চ্যানেলে অনুষ্ঠান চলাকালীন উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সমস্ত লোকদের উপদ্রব ও নেতিবাচকতা ছড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। যোগীর এই মন্তব্যেকে ‘দলিত বিরোধী’ বলেছিল কংগ্রেস।
এই মন্তব্যের পর শনিবারই পার্টি কর্মীদের বাল্মীকি মন্দির সাফাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। আজ ঝাঁটা হাতে নিয়ে, দলিত এলাকায় সাফাই অভিযান চালিয়ে প্রিয়াঙ্কা যোগীর কটাক্ষের জবাব দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেন, ‘ঝাঁটা আত্মসম্মান ও সরলতার প্রতীক’।
কংগ্রসের এক মুখপত্রের বলেন, ‘লব কুশ নগরের বাসিন্দাদের সঙ্গে এদিন মিশে গিয়েছিলেন কংগ্রসের সাধারণ সম্পাদক। সেখানে বাল্মীকি মন্দিরের চারপাশ তিনি পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রতিদিন অসংখ্য মহিলা ও সাফাই কর্মীরা ঝাঁটা হাতে নিয়ে সাফাই করেন। তাদের এই প্রয়াসকেই সম্মান জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা’।
এই দিন সেখানে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে প্রিয়াঙ্কা বলেন ‘যোগী আদিত্যনাথ এই কথা বলে শুধুমাত্র আমাকে অসম্মান করেনি, বরং যে কোটি কোটি দলিত ভাই বোনেরা সাফাই কর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকেই অপমান করেছেন তিনি। আমি এখানে আপনাদের সকলের সঙ্গে সাফাইয়ের কাজে সহায়তা করতে এসেছি। যোগীজির বোঝা উচিৎ ঝাঁটা হাতে তুলে নিয়ে সাফাই করা আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে’।