দোরগোড়ায় দুর্গোৎসব। মাঝে কেবল দু’দিন। তারপরই পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে সারা বাংলা ও বাঙালি। তাই করোনা আবহেও খুশির আমেজ বাংলার আকাশে-বাতাসে। তার মধ্যেই সরকারি কর্মীদের জন্য ভেসে এল খুশির খবর। পুজোর মরসুমে সরকারি কর্মীদের জন্য খুশির বার্তা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। টানা ১৬ দিন ছুটি ঘোষণা করল নবান্ন। রাজ্য সরকারি কর্মীরা এবার এই পুজো ও উৎসবের মরশুমে লম্বা ছুটি পাচ্ছেন। ৮ই অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবার অফিস ছুটির পরই টানা ১৬ দিন ছুটি কাটাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৯ই অক্টোবর শনিবার থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে। আবার অফিস খুলবে একেবারে লক্ষ্মীপুজোর পর। ১১ই অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো শুরু। তার আগে শনিবার ও রবিবার পরপর দুদিন ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোর মাঝেও শনিবার ও রবিবার পড়ছে। তারপর মাঝের দু’দিনও আগে থেকেই ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ছুটি থাকত এমনিতেই। এবার লক্ষ্মীপুজোর পরও চারদিন ছুটি থাকছে। তার মধ্যে দু’দিন শনি ও রবিবার পড়ে যাচ্ছে। ২৫শে অক্টোবর সোমবার থেকে ফের অফিস শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। পূর্ব ঘোষণামতো ১১ই অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি ছিল। তারপর দুদিন অর্থাৎ ২৩ ও ২৪শে অক্টোবর শনি ও রবিবার। ফলে এক শনি ও রবিবার থেকে শুরু হয়ে আরও এক শনি ও রবিবার পর্যন্ত টানা ১৬ দিনের ছুটি মিলছে এবার।
কোভিড-বিধি মেনে মহালয়ার পর থেকেই এবার পুজো উদ্বোধন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর চারদিন প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনের জন্যও সময় বরাদ্দ রেখে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা বিধি আরোপ করা হয়েছিল ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই বিধি নিষেধ পুজোর মধ্যেও জারি থাকবে। শুধু ১০ থেকে ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ তুলে নেওয়া হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে রাতের দিকেও ঘুরতে পারবেন সবাই। কিন্তু অন্যান্য করোনা বিধি মেনে চলতে হবে দর্শনার্থীদের।