এবার আদিবাসী তথা অনগ্রসর শ্রেণির বেকার যুবদের রোজগারের সুযোগ তৈরি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। একাধিক বেসরকারি ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তাঁদের জন্য স্বল্প সুদে তিন চাকার পণ্যবাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দিল সরকার। শুধু তাই নয়, ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থায় তাঁদের কাজেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় গ্যারান্টার হিসেবে রয়েছে রাজ্য এসসি, এসটি এবং ওবিসি উন্নয়ন এবং অর্থ নিগম। বৃহস্পতিবার নিউটাউনের আদিবাসী ভবনে এই প্রকল্পের ‘পাইলট স্কিম’-এর সূচনা করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অনগ্রসর শ্রেণি ও আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, নিগমের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কে থারে, দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব এ সুব্বাইয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আপাতত প্রথম ধাপে ২৫ জন এসসি, এসটি এবং ওবিসি পরিবারের সদস্যদের হাতে তিন চাকার ইলেকট্রিক গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় এদিন। তাঁদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে চারটি ই-কমার্স সংস্থাকে। এই যুবকরা সেখানে কাজ করবেন। তাঁরাই ডেলিভারির কাজ সামলাবেন। এক-একটি গাড়ির জন্য ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যা ৫ শতাংশ সুদে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রাজ্য সরকার ১০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ভর্তুকি রয়েছে। এই কাজে তাঁদের মাসিক আয় হবে প্রায় ২৭ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে থাকছে বাড়তি ইনসেনটিভের সুযোগ। বুলুচিক বরাইক বলেন, “পিছিয়ে পড়া পরিবারের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে তুলতেই এই উদ্যোগ। চলতি বছরের মধ্যে এমন ৩০০ জনকে এই ঋণ পাইয়ে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে এই স্কিম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীদিনে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে এই স্কিমকে তুলে ধরা যায় কি না, তার পরিকল্পনা করেছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর।” নিগমের কাজের প্রশংসা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বিধানসভা এলাকায় অন্তত ৫০টি পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের এই স্কিমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সঞ্জয় থারেকে অনুরোধ করেছেন তিনি।