ভিন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় সুপারি কিলার ভাড়া করে করে মেয়ের প্রেমিককে খুন! হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আরবাজ আফতাব মোল্লা। পরের দিন তাঁর বিকৃত দেহ খানাপুরার কাছে রেললাইনের ধারে উদ্ধার হয়। তাঁর মা, নাজিমা শেখ অভিযোগ করেন, হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার জন্য তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এরাপ্পা এবং সুশীলা হল আরবাজের প্রেমিকার অভিভাবক। তারাই সুপারি কিলার ভাড়া করে আরবাজকে খুন করায়। পুন্ডালিকা হল সেই ভাড়াটে খুনি। বেলাগাভির আজমনগরের বাসিন্দা আরবাজ একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বেলাগাভিতে গাড়ির ডিলার হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর আরবাজ এবং তাঁর মাকে খানাপুরায় ডেকে পাঠায় পুন্ডালিকা। তারপর সেখানে আরবাজ ও তাঁর মাকে শাসায় পুন্ডালিকা। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে এৎ ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় আরবাজকে। তারা জোর করে আরবাজের মোবাইল থেকে প্রেমিকার সঙ্গে সমস্ত ছবি ডিলিট করায় এবং সিম কার্ড ভেঙে দেয়।
২৮ তারিখ পুন্ডালিকা আরবাজকে ডেকে পাঠায় নিজের বাড়িতে। তার আগে প্রেমিকার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আরবাজকে পৃথিবী থেকে সরানোর টাকা পেয়ে যায় পুন্ডালিকা। আরবাজ বাড়িতে আসতেই পুন্ডালিকা এবং তার সঙ্গীরা তাঁর টাকা-পয়সা লুঠ করে তাঁকে খুন করে রেললাইনের উপর ফেলে দেয়। পরে ট্রেনে কাটা পড়ে আরবাজের মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই ২৪ বছরের যুবক আরবাজের খুনের অভিযোগে তাঁর প্রেমিকার বাবা-মা সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, মেয়ের প্রেমিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে সুপারি কিলার নিয়োগ করে বাবা-মা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম পুন্ডালিকা মহারাজ, কুতুবদ্দিন আল্লাবক্স, সুশীলা এরাপ্পা, মারুতি প্রহ্লাদ, মঞ্জুনাথ তুকারাম, গণপতি জ্ঞানেশ্বরা, এরাপ্পা বাসবান্নি কুম্ভরা, প্রশান্ত কালাপ্পা, প্রবীন শঙ্কর এবং শ্রীধর মহাদেবা দোনি।