২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পেলেন পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়ার আবদুলরাজাক গুরনাহ। পুরস্কার ঘোষণা করে মঙ্গলবার নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়, শরনার্থীদের ওপর ঔপনিবেশিকতার প্রভাব এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে আবদুলরাজাক গুনরাহের প্রবন্ধ সাহিত্যজগতে বিরাট ছাপ ফেলেছে। সেই কারণেই তাঁকে এই সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
নোবেল কমিটির তরফে নোবেলজয়ীর কাজ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, গাল্ফ অঞ্চলের শরনার্থীদের সমস্যা, তাদের সংস্কৃতি সবটা উঠে এসেছে আবদুলরাজাকের প্রবন্ধে। ওই অঞ্চলের শরনার্থীদের রোজনামচার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রীতিমতো চমকপ্রদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোবেল কমিটির মতে, গুরনাহর প্রবন্ধ তথাকথিত ধারণা থেকে বের করে শরনার্থীদের আরও কাছ থেকে চেনাতে সাহায্য করে। পূর্ব আফ্রিকার এই অংশের নানা তথ্য আজও মানুষের কাছে অধরা ছিল বলেই মনে করে নোবেল কমিটি। সেখানকার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট আবদুলরাজাকের প্রবন্ধের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে।
আফ্রিকান এই সাহিত্যিকের প্রবন্ধের বর্ণনায় নোবেল কমিটি আরও জানিয়েছে, তাঁর লেখা যেন বৌদ্ধিক আবেগ দ্বারা চালিত একটি অবিরাম অনুসন্ধান।
মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রথম লেখা শুরু করেছিলেন আবদুলরাজাক গুনরাহ। তিনি নিজেও একজন শরনার্থী ছিলেন। সেই বর্ণনাই ফুটে ওঠে তাঁর ‘অলটারনেটিভ’ প্রবন্ধটিতে। যা ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।