জাগো বাংলার শারদ সংখ্যাতেও কংগ্রেস নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বললেন, দিল্লীর দরবারে বিজেপি মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস। পাশাপাশি তৃণমূলের মডেলকে যে গোটা দেশ এগিয়ে রাখছে তাও স্মরণ করলেন মমতা।
ভোটে জেতার পর তিনি নিজেই দিল্লীতে গিয়ে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। ঐক্যের যে সুনিপুণ ছবিটা ধরা পড়ছিল তাতে কোথাও কোনো ফাটল চোখে পড়েনি। পরিসংখ্যানগত কারণেই নিজেদের কংগ্রেসের থেকে আসলে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখছেন মমতা-সহ গোটা দল, প্রয়োজনে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও সময়ে সময়ে একহাত নিচ্ছেন মমতা অভিষেক তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়। জাগো বাংলা-য় আরও দু’ধাপ এগিয়ে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে ২০২৪ নির্বাচন লড়তে হবে তার সুরটা যেন তিনি বেঁধে দিতে চাইছেন। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেস দিল্লী দরবারে বিজেপিকে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। গত দুটি লোকসভার নির্বাচন তার প্রমান। দিল্লীতে যদি লড়াই না থাকে তাহলে মানুষের মনোবল কমে যায়। এবং লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যগুলিতে বিজেপি কিছু বাড়তি ভোট পেয়ে যায়। সেটা এবার কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না’।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, গোটা তৃণমূলই নিজেদের সামনে রেখে জোটে আগ্রহী। তারা চাইছে জোট হোক কিন্তু কংগ্রেস নিজের এবং বাকিদের অবস্থানটা বুঝুক। মমতার কথায়, ‘সময়ের যাত্রাপথে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে আসল লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এই দেশের মানুষ এখন তৃণমূলকে কিরে নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখছেন’।
প্রসঙ্গত এর আগেও জাগো বাংলায় একাধিকবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলকে কংগ্রেসের সম্প্রসারিত অংশ হিসেবেও দাবি করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতেও বারংবার বলেছেন, রাজীব গান্ধীর হাত ধরেই তার পথচলা শুরু। সুতরাং আদর্শগত ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও মৌলিক পার্থক্য নেই তা বারবার বুঝিয়ে দিতে চায় ঘাসফুল শিবির। নেত্রী স্পষ্ট লিখছেন, ‘বিকল্প জোটের নেতৃত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই কিন্তু বাস্তবটা কংগ্রেসকে অনুভব করতে হবে। অন্যথায় বিকল্প শক্তির গঠনে ফাঁক থেকে যাবে’।