তৃণমূলে যাচ্ছেন তিনি? এই জল্পনা ফের একবার উসকে দিলেন সব্যসাচী দত্ত । তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগরে পদ্মের প্রার্থী হয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। জিততে পারেননি। দলও ক্ষমতায় আসেনি। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বারবার সব্যসাচীর সঙ্গে বিজেপির মতবিরোধ এবং দূরত্ব বৃদ্ধির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সদ্যই বিজেপির দুর্গাপুজো নিয়ে সব্যসাচী এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতবিরোধ তৈরি হয়। এবার লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যু নিয়েই একই ধারা বজায় থাকল। বুধবার সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কার গাড়ি সেটা বড় কথা নয়,যে ঘটনা ভাইরাল হয়েছে টিভিতে খুব দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। যে বা যারাই এটা করে থাকুক তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি এবং তাদের একটাই শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি।”
উল্লেখ্য, সব্যসাচী এখন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পদে রয়েছেন। সদ্যই তাঁকে খড়দহ উপনির্বাচনের জন্য তৈরি কমিটিতে ‘ইনচার্জ’ নিযুক্ত করেছেন নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাতেও দলবিরোধী মন্তব্য থেকে সরছেন না সব্যসাচী। শুধু তাই নয়, এ বার তিনি যা বললেন, তাতে উৎসবের আবহে তাঁর দলবদলের জল্পনা নতুন করে তৈরি হল। সম্প্রতি লখিমপুর খেরির ঘটনার নিন্দা করাই শুধু নয়, সেখানে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের যেতে না দেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সব্যসাচী। মঙ্গলবার দিলীপ যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, “১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপই করেছে।” বুধবার সব্যসাচী বলেন, “কোনও আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া পদ্ধতি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক দেশ, এ তো তালিবান শাসন নয়।”
বিগত ২০১৯ সালের পুজোর মুখেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন সব্যসাচী। ২০২০ সালেও একবার তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এখন পুজোর মরসুমে সেই একই জল্পনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে এসেছিলেন সব্যসাচী। তৃণমূলে থাকার সময়েই তাঁর বাড়িতে মুকুলের লুচি-আলুরদম খেতে যাওয়া নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। এখনও নাকি নিয়মিত মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। আবার এমনটাও জানা গিয়েছে, সব্যসাচীকে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত শাসক দলের দুই বিধায়ক সুজিত বসু ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের।
