খেরির ঘটনার পর দু’দিন অতিক্রান্ত হলেও দেশজুড়ে শোরগোল চলছেই। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে লখিমপুর খেরিতে যেতে অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে লখিমপুরে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে খেরিতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু মিলল না অনুমতি। এবার কংগ্রেসের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
রবিবার রাত থেকেই লখিমপুর নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি গোটা দেশে। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেছে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আপ, তৃণমূল আক্রমণ করেছে পদ্ম শিবিরকে।
সোমবারে লখিমপুর যেতে গিয়ে সীতাপুর থেকে আটক হন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফাতর করা হয়। অন্যদিকে, সোমবার বাড়ির ভিতরেই কার্যত আটকে রাখা হয় অখিলেশ যাদবকে। তাঁকে সোমবারেই গ্রেফতার করা হয়। তবে পরে মুক্তি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার লখিমপুর খেরিতে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু, লখিমপুরে যাওয়ার পথে তাঁদের আটকায় যোগী পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা।
শেষ পর্যন্ত দুটি দলে ভাগ হয়ে কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। লখিমপুরের কৃষকদের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল বার্তা দেয়,’কৃষকদের চোখের জল, কান্না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছয় না। সত্যিই কি তিনি কৃষকদের যন্ত্রণা বুঝতে পারছেন না? আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এই কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে থাকব এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।