কয়েকদিন বাদেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এবার মহালয়া থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অতিমারির আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ফলে এবারও উদ্যোক্তাদের বিধি-নিষেধ মেনেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে হবে। তাই পুজো শুরুর আগে মণ্ডপগুলোর ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখলেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। যথাযথ বিধি-নিষেধ মেনে পুজোর ব্যবস্থা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কলকাতা পুলিসের সঙ্গে ছিলেন সিইএসসি, পিডব্লিউডি এবং দমকলের আধিকারিকরাও।
জানা গিয়েছে, মহালয়ার দিন প্রথমে চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজোয় মায়ের চক্ষুদান করবেন তিনি। একই দিনে সেলিমপুর, বাবুবাগান, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্কের পুজোরও উদ্বোধন করবেন তিনি।
দুর্গাপুজো নিয়ে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জবাব দিয়েছে রাজ্য। সরকার জানিয়েছে, গতবারের করোনাবিধি মেনেই এবারও মণ্ডলগুলোতে দুর্গাপুজো হবে। বজায় থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ নিয়ম। আগে থেকে জানাতে হবে পুজোর সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নামও। রাজ্যের তরফে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, পুজো কর্তৃপক্ষকে তালিকা দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তাঁদের কোন কোন স্বেচ্ছাসেবক পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবকের তালিকা তৈরি করতে হবে।