এ মাসেই রাজ্যে আরও চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল গোসাবা। সেই কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পদ্মশিবির। সোমবার রাত পর্যন্ত প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা। গত বিধানসভা নির্বাচনে যে দলবদলু বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, ভোট মিটতেই তিনি ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো লড়াকু কোনও স্থানীয় মুখ বিজেপিতে নেই, এমনই ধারাণা রাজনৈতিক মহলের। তবে দলের সাংগঠনিক জেলার নেতারা স্থানীয় কাউকেই প্রার্থী করার জন্য দরবার করেছেন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলবদলু নেতাকে সামনে রেখে লড়াই করেছিল বিজেপি। তাতে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। পরাজিত প্রার্থী এখন তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর অনুগামীও ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। ফলত বাড়ছে চাপ।
এদিকে, বিধানসভা ভোটে যে ১১৫টি বুথে জোড়াফুল পিছিয়ে ছিল, সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ বাড়ানো হবে। ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নিতে হবে। উন্নয়নের সঙ্গে থাকার জন্য মানুষকে বোঝাতে হবে। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন জোরকদমে। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লেখার কাজ। মঙ্গলবার থেকেই প্রচার শুরু করার কথা তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের। বামেরা তাদের পুরনো প্রার্থীকেই ফের টিকিট দিয়েছে। সেই জায়গায় এখনও অনেকটাই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। তাহলে কি যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।