মাত্র কয়েকদিন আগেই ডিভিসির জলের তোড়ে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। সঙ্গে ছিল ঘোর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই দুই পরিস্থিতির ফলে বানভাসির কবলে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। যার জেরে ক্ষোভ উগড়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সব টাকা জলেই চলে যাচ্ছে।” এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, আরও ২৪টি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মূলত পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণাতেই এই সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলা হবে। একাধিক সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তাব জমা পড়েছে বলেও খবর। তবে আপাতত ২৪টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তাবেই সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের এই তিনটি জেলাতেই (পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণা) সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওইসব অঞ্চলেও একাধিক সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। কিন্তু আগামী দিনের কথা ভেবেই আরও সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে নবান্ন। সূত্র অনুযায়ী, এক একটি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তুলতে খরচ হবে আনুমানিক এক কোটি টাকা। সাইক্লোন সেন্টার পিছু এক থেকে দু’হাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব৷ আগামী দিনে যাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া যায় তাই সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরেই ৩০টি সাইক্লোন সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নবান্নকে।