বন্যা, অতিমারী পরিস্থিতি, উৎসবের মরশুমের কথা বিবেচনা করে এখনও নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির করা না হলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে চারটি লোকসভা আসন ও ৩০ টি বিধানসভা আসনে ভোট হতে পারে আগামী ৩০ অক্টোবর। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে উপনির্বাচনে আরও কড়াকড়ি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বাংলা, আসাম, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পুদুচেরিতে ভোট হয়। অভিযোগ, কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ভোটের প্রচারে যথেষ্ট কড়াকড়ি করেনি নির্বাচন কমিশন। মাদ্রাজ হাইকোর্ট মন্তব্য করেছিল, নিয়ন্ত্রণহীন নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা উচিত।
আপাতত জানা যাচ্ছে, কোনও প্রেক্ষাগৃহে যত আসন সংখ্যা তার ৩০ শতাংশের বেশি শ্রোতাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রেক্ষাগৃহে সর্বোচ্চ ২০০ জন ঢুকতে পারবেন। যে প্রার্থী বা তারকা প্রচারকারী কোভিড বিধি ভঙ্গ করবেন, তাঁদের প্রচার বরাবরের মতো বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষে যে লোকসভা আসনগুলিতে উপনির্বাচন হবে তার একটি আছে কেন্দ্রশাসিত দাদরা ও নগর হাভেলি এবং আর একটি আছে দমন ও দিউতে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া এবং হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনেও ভোট হবে। যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি আছে অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড এবং তেলঙ্গানায়। এছাড়া বাংলায় চারটি ও আসামে পাঁচটি বিধানসভা আসনে ভোট হবে।
জানা গিয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের বাইরে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও এলাকায় যত লোক ধরে তার ৫০ শতাংশ মানুষ আসতে পারবেন। তবে কোনও মাঠে এক হাজারের বেশি মানুষ আসতে পারবেন না। যে মাঠে সভা হবে, তা পুরোপুরি কর্ডন করে ফেলতে হবে। মাঠের চারপাশে পাহারা দেবে পুলিশ। মাঠে কতজন ঢুকছেন, তার ওপরে নজর রাখা হবে। মাঠ ঘিরতে যে টাকা খরচ হবে, তা দেবেন প্রার্থী অথবা তাঁর দল। একসময় নির্বাচন কমিশন বলেছিল, কোনও দল সর্বাধিক ৩০ জন স্টার ক্যাম্পেনার আনতে পারবে। কিন্তু এখন তারকা প্রচারকারীর সর্বোচ্চ সংখ্যা কমিয়ে করা হয়েছে ২০। নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও দল বা প্রার্থী নির্দেশিকা না মানলে তার প্রচার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি কোনও স্টার ক্যাম্পেনার বিধিভঙ্গ করেন, তাঁকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বা জেলায় আর প্রচার করতে দেওয়া হবে না।’