একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরেই ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিপ্লব রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল। এরই মধ্যে সেখানে বারবারই প্রকাশ্যে চলে আসছে বিজেপির অন্তর্কলহ। ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস আধিকারিকদের সম্মেলনে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্তব্য আদালত অবমাননার সমান বলে অভিযোগ করেছিলেন যে বিজেপি বিধায়ক, সেই আশিস দাস এবার তৃণমূলের পথে। শুধু তাই নয়, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়লাভের পরদিনই ওই বিধায়ক বললেন, বিজেপিতে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করবেন তিনি আর তা করবেন সুদূর ত্রিপুরা থেকে কালীঘাটে এসে।
এদিন বিজেপিকে রীতিমতো তুলোধনা করে আশিসবাবু বলেন, ‘মুখ এবং মুখোশ কোনটা বুঝে নিয়েছে মানুষ। ফলে মা মাটি মানুষকে সমর্থন করেছে তাঁরা।’ মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখার আশা ব্যক্ত করে তিনি এ-ও বলেন যে, ‘ইন্দিরা গান্ধীর পর আবার একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় ভারত। বাঙালি হিসেবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমি নিজেও।’ সূত্রের খবর, আগামীকাল, মঙ্গলবার বিকেলে কালীঘাটে যজ্ঞ করবেন আশিসবাবু। ঘনিষ্ঠ মহলে ওই বিধায়ক জানিয়েছেন, বিজেপিতে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করবেন তিনি। তারপর আগামী ৬ তারিখ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন ত্রিপুরার সুরমা কেন্দ্রের এই বিধায়ক। উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর ধারাবাহিক হামলার মতো ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন আশিস।