চলছে গণনা। এখনও শেষ হয়নি সমস্ত রাউন্ড। এর মধ্যেই মহানগরীতে ধরা পড়ল দু’রকম চিত্র। একদিকে বিজেপির দুই পার্টি অফিস। সেখানে পিন পড়ার নীরবতা। নিস্তব্ধ কার্যালয়। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন সংলগ্ন এলাকা। চলছে অকাল দোল। আবির নিয়ে মেতে উঠেছেন কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ। আর মুখে মুখে স্লোগান, ‘খেলার ফলাফল ৩–০।’ যতই রাউন্ড একের পর এক শেষ হচ্ছে ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে চলেছেন বড় ব্যবধানে। ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এর মধ্যেই ১৬ রাউন্ড শেষে মমতা এগিয়ে গেলেন ৪২ হাজার ২৯২ ভোটে। তৃণমূল পেয়েছে ৬২ হাজার ৭৬০। বিজেপি পেয়েছে ২০ হাজার ৪৬৮।
পাশাপাশি, জঙ্গিপুরে একাদশ রাউন্ডের শেষে জাকির পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৮৯ ভোট। অন্য দিকে বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাস পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৭৮ ভোট। ব্যবধান ৩৩ হাজার ৬১১। শমসেরগঞ্জে দ্বাদশ রাউন্ডের শেষে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৪৪ ভোট। কংগ্রেসের জইদুর রহমান পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৫৩ ভোট। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৪৯১৬ ভোট। ৭৬৯১ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, রবিবারের সকাল থেকে তিন কেন্দ্রের ব্যালট গণনা শুরু হতেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোটগণনা শুরু হতেই তিন কেন্দ্রেই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে অনেকে ফোন করতে শুরু করে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সকাল থেকে হাসতে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। যিনি এই উপনির্বাচনের একপ্রকার সৈনিক হিসাবে কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে জয় নিশ্চিত হবে আশা কর্মী–সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের।