ভবানীপুর বেছে নিয়েছে নিজের মেয়েকেই। অতীতের সব নজির ভেঙে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে ৫৮,৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান টপকে, ২০২১ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিগুণ মার্জিনে জয়ী হলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বাড়ির সামনেই চলছে অকাল দোল-উৎসব। আবির খেলায় মেতে উঠেছেন কর্মী–সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষরা। রবিবারের সকালে তিন কেন্দ্রের ব্যালট গণনা শুরু হতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল. ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোটগণনা শুরু হতেই তিন কেন্দ্রেই এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তিন কেন্দ্রের মধ্যে গোটা দেশের নজর ছিল ভবানীপুরে। মমতার জয়ের আভাস পেতেই শুরু হয় উৎসব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাকি দুটি কেন্দ্রে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে যথাক্রমে ৪৮১৪১ ও ১৪৮৪৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
এদিন বিপুল জয়ের পরই নিজ বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “ভবানীপুরের মানুষের কাছে চিরঋণী আমি। এবারে একটাও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এখানে সব ভাষাভাষী, জাতি, ধর্মের মানুষ একসাথে মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।” আবেগপ্রবণ হয়ে মমতা বলেন, “আজকে আমার মন ভরে গেল। আমরা সারা বাংলায় জিতেও একটা কেন্দ্রে জিততে পারিনি। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। সে নিয়ে মামলাও চলছে। ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিলেন। সারা বাংলার মানুষ এই জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সমস্ত ভাষার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। সব ক’টি ওয়ার্ডে আমি বেশি ভোট পেয়েছি। এই প্রথম এমন হল। ভবানীপুরের মানুষ গোটা দেশকে দেখিয়ে দিল বাংলা কাকে চায়।” পাশাপাশি মমতা বলেন, “আমি দু’আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব না। তিন আঙুলে জয়ের চিহ্ন দেখাব। কারণ আমরা তিন জায়গায় জিতেছি।”