একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, দোষারোপের পালা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলত্যাগ করছেন নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দল ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট সেই জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর শনিবার বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি বরণের অনুষ্ঠানে লকেট গরহাজির থাকায় এখন বাংলার বিজেপি নেতাদের একাংশ স্পষ্টই বলছেন, লকেট আর হয়তো গেরুয়া শিবিরের নন।
প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব পাওয়ার পরে দলের পক্ষ থেকে শনিবার বিধাননগরে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র (ইজেডসিসি)-এর প্রেক্ষাগৃহে ছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেখানে রাজ্য বিজেপির সব নেতাই ছিলেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ থেকে শুরু করে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ছিলেন মঞ্চে। দলের বাকি সাংসদ এবং বিধায়করাও হাজির ছিলেন। কিন্তু ছিলেন না রাজ্যের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট। যদিও লকেটের দাবি, তিনি দিল্লীতে দলের কাজে ব্যস্ত থাকাতেই কলকাতার অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। সম্প্রতি লকেটকে উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত সেই রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। সেই দায়িত্ব পালনের জন্যই শনিবার তিনি দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন লকেট।