রাজ্যের ১৩২টি পুরসভার মধ্যে কলকাতা-সহ ১১২টির মেয়াদ বহুদিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কালবেলায় অতিমারির আইনে আটকে গিয়েছে পুরভোটের ভবিষ্যৎ। মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভায় কোথাও পুর প্রশাসক, কোথাও পুর কমিশনার দিয়ে কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভার ভোট করানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। রাজ্যের বিরোধী দলেরাও বার বার পুরভোট করানোর দাবি তুলছেন। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই নির্বাচনটা শেষ হলে আবার আমাদের অন্য ভোট করতে হবে’। অর্থাৎ, পুজোর পরে অক্টোবরের শেষে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, তা মিটলেই পুরভোট হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তাঁর মন্তব্য থেকে ইঙ্গিত, নভেম্বরের পর থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে রাজ্য। এরই সঙ্গে রাজ্যের ৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের ডিভিসি এবং কেন্দ্র সরকারকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে আনলেন ‘ম্যান মেড বন্যা’র তত্ত্ব।
পুরভোট করানো কবে সম্ভব তা নিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতেও চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রাজ্যে আট দফায় বিধানসভা ভোট হয়েছে। নতুন সরকার গঠনের পর কেটে গিয়েছে চার মাস। কিন্তু পুরভোট নিয়ে সরকারের তরফে কোনও কথাই বলা হয়নি। এই অভিযোগে বার বার সরব হচ্ছেন বিরোধীরা। শুক্রবারও পুরভোট দ্রুত করার দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ির পথে নামে বাম এবং কংগ্রেস, গণ স্বাক্ষর অভিযান করে বামেরা, ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। এমন পরিস্থিতিতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী ভোট অর্থাৎ পুরভোট করানোর ইঙ্গিত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।