রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই ডিভিসিকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন ‘এটা ম্যানমেড’। শনিবার আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে আরামবাগে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে মমতা বলেন, ‘ডিভিসি যা করেছে সেটা বড় ক্রাইম, প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ চাইব’।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাটের বাসভবন থেকে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সড়কপথে সোজা ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পৌঁছন তিনি। বেলা ১২টা ১মিনিটে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে হেলিকপ্টারে চড়ে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান হয়ে হুগলির বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পৌঁছন আরামবাগে।
সেখানকার বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে মমতা বলেন, ‘প্রায় এক লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রেজিং করলে আরও জল ধরে রাখা সম্ভব হত। কোনও আলোচনা করেনি। আমরা মিলেমিশেই থাকতে চাই। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি। আমফানেও করেনি, বুলবুলেও করেনি, ইয়াসেও করেনি, এবারেও করছেনা। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর কত ধৈর্য্য ধরব’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, প্রায় চার লাখ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় এক লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই মমতা বলেন, ‘আমাদের কিছু না জানিয়েচি ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যারাত থেকে মোট সাড়ে ৫ লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে। ডিভিসি ক্রাইম করেছে। ওদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত’।তাঁর কথায়, ‘আমাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করতে পারত’।