বাংলায় ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল তারা। কিন্তু একুশের ভোটে বাংলায় ব্যাপক ভরাডুবি ঘটে গেরুয়া শিবিরের। মাত্র ৭৭ আসনেই থেমে যেতে হয় তাদের। সেই সময়েই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছিলেন, তৃণমূলের তুলনায় অনেক দুর্বল সংগঠনের জন্যই আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। রাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর সংগঠন নেই বলে ভোটের সময় সমালোচনা করেছে তৃণমূলও। শুক্রবার সেই কথাই একপ্রকার মেনে নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকেই আত্মসমালোচনার মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেন তিনি। এর আগে কোনও প্রকাশ্য সভায় এই ভাবে প্রকান্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই ভরাডুবির কারণ হিসেবে তুলে ধরেননি কোনও বিজেপি নেতাই।
শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, ‘বিজেপির সমর্থনের কোনও কমতি নেই। ৩৮.১৩ শতাংশ ভোট পেলে কেন্দ্রে সরকার গড়া যায়। কিন্তু এখানে আমরা এত ভোট পাওয়ার পরেও বিধায়ক সংখ্যা বাড়াতে পারিনি কারণ, অন্য দিকে ৪৭ শতাংশের বেশি ভোট একত্রিত হয়েছে।’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ৭৭ হাজার বুথ রয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার বুথে কমিটি তৈরি করা খুব কঠিন। কিন্তু বাকি জায়গায় যদি আমরা বুথ কমিটি তৈরি করতে না পারি, বুথ সংগঠন তৈরি করতে না পারি তা হলে আমরা একটা বড় অংশের আসনে জিতব কিন্তু সরকারে যেতে পারব না।’ গতকাল তিনি এ-ও জানান যে, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ে বিধানসভা ভোটের পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে বুথ স্তরে সংগঠন বিস্তারের কথা বলেছিলেন। এরপরই পরোক্ষে দিলীপকে খোঁচা দিয়ে সুকান্তের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব নতুন রাজ্য সভাপতি সেই বিষয়ে খানিকটা যত্নবান হবেন।’