রবীন্দ্র সরোবরে বসতে চলেছে এরেটর। এটি একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র, যা জলে বসানো হবে। কারণ এই যন্ত্রের মাধ্যমে অক্সিজেনের অভাব মেটানো হবে। এই কাজটি করবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। কেএমডিএ সূত্রে খবর, মোট ৮টি এরেটর আপাতত বসানো হবে। গোটা সরোবর জুড়ে এই যন্ত্র বসানো হবে। এই যন্ত্রে একটি বিশেষ ধরনের চাকা লাগানো থাকে। যা ঘুরলে জলে আলোড়ন হবে। আর তাতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে জলে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে সেপ্টেম্বর প্রবল বৃষ্টি হয়। তখন রবীন্দ্র সরোবরে মাছ–সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী মরে যায় এবং তা জলে ভেসে ওঠে। এই পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞদের সেখানে পাঠানো হয়। তাঁরা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। এমনকী একটি কমিটিও তৈরি করা হয়। সবদিক খতিয়ে দেখে তাঁরা জানান, অক্সিজেন সরোবরের জলে কমে যাওয়ার জেরেই মাছ–সহ জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। কেএমডিএ–কে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানান, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে জলে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ছে না। তাই জলে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকছে না। আর অক্সিজেন ঠিকভাবে না পেয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী প্রাণ হারাচ্ছে। তারপর তা ভেসে উঠছে। এই বিষয়টি নিয়ে কেএমডিএ’র এক আধিকারিক বলেন, “এরেটর যন্ত্রের চাকা জলের মধ্যে অনবরত ঘুরে জলে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখবে। মাছ ও অন্য জলজ প্রাণীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবে না।”
এপ্রসঙ্গে পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, “যে জলাশয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী বেশি, সেখানে এই ধরনের যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রবীন্দ্র সরোবরে তো শুধু মাছ নেই, বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী রয়েছে। তাই রবীন্দ্র সরোবরে এই ধরনের যন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।” কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, “বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরোবরের দূষণ রক্ষার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।”