রাজ্যে ক্ষমতায় আসা হয়নি, এরই মধ্যে একের পর এক ধাক্কা বিজেপিতে। আগেই দল ছেড়েছেন মুকুল রায় সহ চার বিধায়ক। তাঁরা ছাড়াও রীতিমতো চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। শুক্রবার ফের ধাক্কা বিজেপি-তে৷ এবার দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী৷ তিনি এখনও তৃণমূলে যোগ না দিলেও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চোধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে দলে ফের ভাঙন অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কৃষ্ণ কল্যাণীর দল ছাড়া ও দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর সংঘাতের প্রসঙ্গেও সেই চিন্তার কথাই বলেছেন রাজ্য বিজেপির নতুন সেনাপতি।
শুক্রবার কৃষ্ণ কল্যাণীর দলত্যাগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রায়গঞ্জে আমাদের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী আর দল ছেড়েছেন ওই এলাকার বিধায়ক। একজন বিধায়ক আর একজন সাংসদের মধ্যে এই মতবিরোধ, এই ধরনের কথাবার্তা তো চিন্তার বিষয়ই।’ প্রসঙ্গত, এদিন দল ছাড়ার সময় দেবশ্রী চৌধুরীকে মীরজাফর বলে আক্রমণ করেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পাল্টা দেবশ্রীর অভিযোগ, নিজের স্বার্থেই দল ছেড়েছেন বিধায়ক। তৃণমূলে যাওয়ার জন্য এখন অজুহাত খুঁজছেন।
একের পর এক বিধায়কের দল ছাড়ায় চিন্তায় পড়েছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সুকান্ত মজুমদারকে অভ্যর্থনা দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে অবশ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন না। আর সেখানেই দলে ভাঙন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যক্তিগত স্বার্থের থেকে দলীয় স্বার্থ আমাদের কাছে অনেক বড়। আমরা নীতি-আদর্শ মেনে দল করি। তাই সকলকেই অনুরোধ করছি, দলীয় স্বার্থের কথা ভেবে আসুন একসঙ্গে কাজ করি।’ আর রাজ্য সভাপতির সেই ‘অনুরোধ’ নিয়েই জল্পনা বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে। তাহলে কি আরও ভাঙনের আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির?