শহর ও শহরতলির নিকাশি জলের একটা বড় অংশই কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু পলি ও আবর্জনা জমার ফলে কমেছে এই দুই খালের বহন ক্ষমতা। যার ফলস্বরূপ প্রবল বর্ষণ হলেই জলের তলায় চলে যায় শহরের বহু অংশ। মূলত ভোগান্তি পোহাতে হয় নিউটাউন, সল্টলেক, বিটি রোড, ভিআইপি রোড সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের এলাকাবাসীকে। আর তাই মানুষের ভোগান্তি কমাতে আগামী বর্ষার আগেই বাগজোলা খাল ও কেষ্টপুর খাল সাফ করার উদ্যোগ নিল রাজ্য। জানা গিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসেই কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পরের বছর বর্ষার আগে এই কাজ শেষ হবে বলেও জানান সেচ ও জলপথ পরিবহণ দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব প্রভাত মিশ্র।
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালকে প্রভাতবাবু জানান যে, আগামী মে মাসের মধ্যেই এই দুই খাল সংস্কার করা হবে। যাতে পরের বর্ষাতে মানুষকে এই দুর্ভোগ পোয়াতে না হয়। এর মধ্যেই সেচ ও জলপথ পরিবহণ দফতরের প্রিন্সিপাল সচিবকে পুরোপুরি অ্যাকশন প্ল্যান জমা করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থলেকর ও শৈবাল দাশগুপ্ত। সেই অ্যাকশন প্ল্যানে থাকবে দুটি খালের আবর্জনা পরিস্কার ও কীভাবে পলি তোলা হবে তা সুস্পষ্ট ধারণা। আগামী শুনানি ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।