প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই ভবানীপুর উপনির্বাচন আর পাঁচটা সাধারণ উপনির্বাচনের মতো নয়। বরং তা পরিণত হয়েছে মহারণে। আর এই মহারণে তৃণমূল বা বিজেপি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত সেকারণেই ভোটের দিন কার্যত ভোরবেলা থেকেই আসরে নেমে গিয়েছেন দুই শিবিরের নেতানেত্রীরা।
প্রচার পর্বের শুরু থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের অন্যতম সেনাপতি হিসাবে উঠে এসেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রচার চলাকালীন প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভোটের দিন সকালেও সেই একই ছবি দেখা গেল। সাতসকালে ভবানীপুরের রাস্তায় নেমে পড়লেন কলকাতার পুর প্রশাসক।
ফিরহাদের লক্ষ্য মূলত ভোটারদের সকাল সকাল বুথমুখী করা। কারণ, গত দু’দিনের অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পর শাসক শিবিরে এখন একটাই আশঙ্কা, সব ভোটারকে বুথে পাঠানো যাবে তো? স্বস্তির খবর হল, পরপর দুদিন বৃষ্টি হলেও আজ সকাল থেকে তেমন বৃষ্টি নেই। বরং আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার। ফিরহাদ বলছিলেন, ‘আসলে ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়। আমরা আশা করছি, আজ বৃষ্টি হবে না। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে তো আর লড়তে পারব না’।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রথমে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। শেষ মুহূর্তে বিরোধী শিবিরের অনুরোধে বাহিনীর পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয় ৩৫ কোম্পানি। অর্থাৎ রাতারাতি ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের সাফ কথা, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকাই মনে হয়। আসলে বিজেপি জানে এখানে ওদের কোনও সম্ভাবনা নেই। কোনও সংগঠন নেই। সব বুথে এজেন্ট পর্যন্ত বসাতে পারেনি’।