বৃহস্পতিবার সিবিআই অফিসে হাজিরা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে সিবিআই দফতরে গিয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, আইকোর মামলা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে প্রবীণ রাজনীতিককে। এদিন সিবিই দফতর থেকে বেরনোর সময় শোভন বলেন, “আমাকে ১৬০ সিআরপিসিতে নোটিশ অফ উইটনেস দেওয়া হয়েছিল। সাক্ষী হিসেবে কতগুলো জিনিস তাঁদের জানার ছিল। আইকোর সম্পর্কে। বাংলার মানুষ উত্তম কুমারের প্রতি ভালোবাসা, অনুরাগ, আবেগের পরিপ্রেক্ষিতে তরুণ কুমার সহ কাছের কিছুজন মিলে উত্তম মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। সেই মঞ্চ বিক্রি হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে আইকোরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। খবর পেয়েছিলাম আইকোর ওই মঞ্চ লিজ নিয়েছে। এর জন্য যদি কোনও অর্থব্যয় করতে হয়, তাহলে আমরা সেটা করব জানানো হয়েছিল আমরা কোনও ইন্টারেস্ট দিতে পারব না সে কথাও জানিয়েছিলাম।”
পাশাপাশি প্রাক্তন মেয়রের সংযোজন, “উত্তম মঞ্চ মাল্টিস্টোরেড কমপ্লেক্স হয়ে যাবে, তা মানা যায় না। তাই সব ধরনের জটিলতা নিয়ে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা পর্যালোচনা করেছিল। প্রপার নিয়ম মেনে আমরা আধুনিকতম হল হিসেবে উত্তম মঞ্চ পরিচালনা করেছি। আজ আমি কলকাতা পুরসভায় নেই তাই সে সমস্ত পেপার নেই। সে সমস্ত ফাইল দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আইকোরের কী কথা হয়েছিল এবং উত্তম মঞ্চ হওয়া নিয়ে সিবিআই যা যা জানতে চেয়েছে, আমি সেই তথ্য দিয়েছি।” উল্লেখ্য, গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ওই মামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মদন মিত্র এবং তাঁর ছেলে স্বরূপ মিত্রকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। যদিও তৃণমূল নেতাকে ওইদিনই তলব করা হয়েছিল। পরদিন ডাকা হয়েছিল তাঁর ছেলেকে। সিবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ইমেল করে কামারহাটির বিধায়ককে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসেই অপর তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়াকে তলব করেছিল সিবিআই। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও একাধিক কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। পরে খাদ্যভবনেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই টিম। ওই চিটফান্ড কাণ্ডে এর আগে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও তলব করেছিল সিবিআই।