ছন্দেই রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ মরসুমের আইপিলের আমিরশাহি-পর্বে রীতিমতো সপ্রতিভ তারা। গত ম্যাচে মুম্বইকে হারানো পর বুধবার রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল আরসিবি। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হল তাদের। অন্যদিকে, প্লে-অফের রাস্তা আরও কঠিন হল রাজস্থানের কাছে। বাকি প্রত্যেকটি ম্যাচ জিততে হবে তাদের। এদিন আরসিবির বিরুদ্ধে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন রাজস্থানের ওপেনাররা। প্রথম উইকেটেই ৭৭ রান উঠে যায়। এভিন লিউইস এবং যশস্বী জয়সওয়াল মিলে বেঙ্গালুরুর বোলারদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ শানান। ৭৭ রানের মাথায় ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের বলে মহম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন যশস্বী। দলের ১০০ রানের মাথায় ফেরেন লিউইস। পাঁচটি চার এবং তিন ছয়ের সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।
লিউইসের উইকেটের পরই রাজস্থানের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। আগের দু’টি ম্যাচে অর্ধশতরান করা সঞ্জু স্যামসন বুধবার মাত্র ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর ক্রিস মরিস (১৪) বাদে কোনও ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। এই ম্যাচেও দুরন্ত বোলিং করলেন হর্ষল পটেল। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ দখলে রাখলেন তিনি। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং শাহবাজ আহমেদ।
রান তাড়া করতে নেমে আরসিবিও শুরুটা খারাপ করেনি। দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং বিরাট কোহলি প্রথম উইকেটে ৪৮ তুলে দেন। যদিও অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’জনকেই সাজঘরে ফিরতে হয়। দেবদত্তকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান। রিয়ান পরাগের চমৎকার সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন বিরাট। পরপর দু’উইকেট হারালেও আরসিবিকে চাপে পড়তে দেননি শ্রীকর ভরত এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। স্কোরবোর্ডকে সচ্ছলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। অল্পের জন্য অর্ধশতরান পেলেন না ভরত (৪৪)। ৩০ বলে ৫০ করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই পরাগকে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন এবি ডিভিলিয়ার্স।