সৌজন্যের নজির গড়লেন মদন মিত্র। রাজনৈতিক বিভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে সিপিএমের ক্যাম্পে গিয়ে জিরিয়ে নিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার গায়ে লাল জমা, চোখে ব্রাউন সানগ্লাসে চেনা মেজাজে মদন জানালেন, “ভবানীপুর মানে হচ্ছে, নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। এটা ভবানীপুর, গুজরাত নয়।” অন্যদিকে সিপিএম ক্যাম্পে গিয়ে এদিন চা পান করতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও। এদিন সিপিএমের ক্যাম্পে বসে মদনের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা এটা। কী আছে! সবাই একই পাড়ার ছেলেপুলে।” তার পর সিপিএম ক্যাম্পের বেঞ্চে বসে ছাতার দিকে ইঙ্গিত করে মদন বলেন, “সুন্দর ছাতা লাগিয়েছে, ছায়া আছে। সবাই বসলাম একটু।”
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সবথেকে বেশি প্রচার করতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। অন্যদিকে মমতার স্নেহের মদন ভবানীপুরে তাঁর নেত্রীর নামে দেওয়ালও লিখেছেন। প্রচার ময়দানে দুই নেতাই এদিন যান সিপিএমের ক্যাম্পে জিরিয়ে নিতে। ভোটের দিন চেতলার সিপিএম ক্যাম্পে বসে তাঁর ভাঁড়ে চা পান করেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, “চায়ে চিনি দিয়েছ তো?” অন্যদিকে ক্যাম্পে উপস্থিত সিপিএম নেতা বলেন, আমাদের রাজনীতির সম্পর্ক ছাড়াও অন্যরকম সম্পর্ক আছে। এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পাড়ার ছেলে, আমাদের মধ্যে অন্য সম্পৰ্ক আছে।” মোট ৮টি ওয়ার্ডের ভবানীপুর কেন্দ্রে এদিন নজর গোটা রাজ্যের। শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও এই এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন যে একটা আলাদা তাৎপর্যের বাহক, তা নিশ্চিত।