সকাল থেকে শ্লথ গতিতে চলছিল ভবানীপুরের উপনির্বাচন। বেলা বাড়তেই কিছুটা গতি দেখা গেল ভোটদানে। দেখা গেল ভবানীপুরে সকাল ১১টার হিসেবে ভোট পড়েছে ২১% -র কিছুটা বেশি। সকাল নটার পরিসংখ্যানে ভবানীপুরে ভোট শতাংশ আট শতাংশেরও কম ছিল। অর্থাৎ ঘন্টা দুয়েকে ১৩ শতাংশেরও শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
আর তাতেই স্বস্তিতে শাসকদল। কারণ তারা বিলক্ষণ জানেন ভোটে বড় ব্যবধানে জিততে চাই ভোটারের অংশগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, ভবানীপুরে এখনও পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১.৭৩ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৩৬.১১ শতাংশ। সামশেরগঞ্জে ভোট পড়েছে ৪০.২৩ শতাংশ।
ভোট কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে প্রতিবেদকরা বলছেন ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ তুলনামূলক ফাঁকা কিন্তু বাকি ওয়ার্ডগুলোতে প্রতিটিতেই কমবেশি লাইন দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে সামশেরগঞ্জস জঙ্গিপুর নির্বাচনে ভোটদান অনেকটাই বেশি। পরিসংখ্যান বলছে সকাল ১১ টার মধ্যে সামশেরগঞ্জ ৪০.২৩ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছেষ জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৩০.১০ শতাংশ।
এদিন সকাল থেকেই তাঁর সৈনিকদের কাছ থেকে ভবানীপুরের ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের সুবিধে অসুবিধের খোঁজ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথে বুথে ঘুরছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। অন্যদিকে জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেনও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য একটু অসুবিধা হলেও সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসছেন তাতে খুশি তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন।
এই রাজ্যে উপনির্বাচনের ভোটদানের হার এমনিতেই কম হয়। তারমধ্যে কলকাতার আবহাওয়া বেশ কিছুদিন ধরেই খুব খারাপ। ফলে ভোটদানের হার কম হতে পারে তা ধরে নিয়েই গত একমাস ডোর টু ডোর প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আজ সকালে ভোটদানে এলাকাবাসীর শ্লথতা দেখে উৎসাহ দিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
হাইরাইজের বাসিন্দারা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে এলাকায় এলাকায় রুটমার্চ শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিকে হাওয়া অফিসের যেন জানিয়ে দেয় ভবানীপুরে ভোটের দিন কলকাতার আবহাওয়া থাকবে স্বস্তিদায়ক। ফলে বেলা বাড়তেই ছবিটা বদলাতে থাকে। যে ভোটকেন্দ্রগুলো প্রায় ফাঁকা পড়ে ছিল সকাল থেকে সেখানেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়।