পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবারই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও। তার আগে এদিন দুপুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে পৌঁছান প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। জোড়াফুল শিবিরে যোগদানের জন্য মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা।
গোটা দেশের সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে বিজেপিকে সমূলে উৎপাটিত করতে ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে গোটা দেশে জোড়াফুলকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্লু-প্রিন্টের কথা। ২০২৪ রাজধানী দখলের নীল নকশা তৈরিতেই কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল হাইকম্যান্ড। দিল্লীকে সামনে রেখেই অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই বড়সড় পদক্ষেপ এই কংগ্রেসি নেতা লুইজিনহো ফালেরিওর দলবদল। কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় করেই গোয়া শক্তিবিস্তারের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
সোমবারই গোয়ার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ফালেরিও। বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। বলেন, ‘মমতাকে চাইছে গোয়া। মমতা হলেন মহিলা উন্নয়নের কাণ্ডারী। তিনি স্ট্রিটফাইটার। গোয়াতে তাঁকে প্রয়োজন। মমতা একাধিক বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বিজেপিকে ডিরেক্ট চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। মমতাকে অনুরোধ জানাব, গোয়ায় এসে তিনি দায়িত্ব নিন।’ কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত প্রবীন রাজনীতিবিদ লুইজিনহো ফালেরিও। গোয়ার নাভেলিম কেন্দ্র থেকে সাত বার জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। দুবার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন এই কংগ্রসি নেতা । পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর আগে অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করতে বড়সড় ভূমিকা ছিল ফালেরিও-এর। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চাইছে ঘাসফুল।