কাশ্মীরের সংবাদ পত্রগুলি থেকে শুরু করে নিউজলন্ড্রি, নিউসক্লিক— বারবারই প্রকাশ্যে এসেছে মোদী সরকারের তরফে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। এবার বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার বাংলার এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদ সংস্থা। চ্যানেলে বিজেপির বিরুদ্ধে খবর করা হয়েছিল। আর তার জেরেই গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়তে হল তাদের। ইতিমধ্যেই চ্যানেলকে সম্প্রচার-স্বত্ত্ব নবীকরণ নিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিয়ে থাকে, তা ওই সংবাদ সংস্থার ক্ষেত্রে খারিজ হয়ে গিয়েছে। যদিও কী কারণে তা খারিজ হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। কেন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হবে না, ৭ দিনের মধ্যে তার জবাব তলব করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
মঙ্গলবার সকালে গোটা বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিজেপির দমন-পীড়নের নীতির বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ সমস্ত বিরোধী দল। সকলের একই প্রশ্ন, শাসকের তাবেদারি না করলেই কি সংবাদমাধ্যমের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে? তৃণমূল রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যখন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিকেরা সত্য উন্মোচন করে এবং মোদির বিজেপি সরকারের তোষামোদ করে না, তখন তার ফলাফল এটাই হয়। গণমাধ্যম একজোট হোক। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। বিজেপি চায় যে চ্যানেল তাদের তাবেদারি করবে না, সেই চ্যানেল মানুষের কাছে যাতে না পৌঁছয়। চতুর্থ স্তম্ভ অনুষ্ঠান মানুষের কথা বলে, তাই কেন্দ্রের গাত্রদাহ।