দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হতে চলছে পুজোর মরসুমের। আর তার পরই দীপাবলী। এই দীপাবলি মানে যেমন আলোর উৎসব, তেমনি শব্দবাজিও। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে শব্দবাজি নিয়ে আদালতের মনোভাব যথেষ্ট কঠোর। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা সংলগ্ন বজবজ, বারুইপুর-সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় অসংখ্য শব্দবাজি নির্মাতা সংস্থাগুলির বক্তব্য, শব্দবাজি নিষিদ্ধ হলে তাদের ব্যবসা মার খাবে। কর্মীদের রুটি-রুজি বন্ধ হবে। সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু বলে দিল, কর্মসংস্থানের যুক্তিতে অন্য নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকারে তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
বিচারপতি এম আর শাহ, বিচারপতি এ এস বোপান্নাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, কর্মসংস্থান, বেকারি ও নাগরিকদের জীবনের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। কিছু লোকের কর্মসংস্থানের নামে অন্য নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকারে অন্যদের হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া যায় না। নির্দোষ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারই আমাদের মূল ভাবনা। যদি পরিবেশবান্ধব বাজি থাকে এবং এক্সপার্ট কমিটি তাকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে আমরা অনুকূল রায় দেব। আমাদের দেশে আইন আছে, কিন্তু তাকে প্রয়োগ করতে হবে। তার সঠিক রূপায়ণ হয় না। আমাদের আদেশকে সঠিক মানসিকতা নিয়ে কার্যকর করতে হবে, বলেছে বেঞ্চ।