প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বেই আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দল। এ কথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবার সেই মতই
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সোনিয়া-কন্যার বড় মুখের ছবি-সহ পোস্টার মেরেছে তারা। সঙ্গে স্লোগান, ‘কংগ্রেসই রাজ্যে একমাত্র বিকল্প’।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস আগেই প্রিয়াঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে দলের সাধারণ সম্পাদক করেছে। এবার পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কাকে মুখ হিসাবে প্রজেক্ট করেই তারা রাজ্যে বিজেপির প্রধান বিকল্প হয়ে উঠতে চায়। ইতিমধ্যেই ৫ দিনের রাজ্য সফরে গিয়েছেন সোনিয়া-কন্যা। দলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, নেতৃত্ব সরকারি ভাবে প্রিয়াঙ্কাকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করুক। যদিও এখনই তা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি প্রকাশিত ‘পরিবর্তন কা সংকল্প, কংগ্রেস হি বিকল্প’ স্লোগান লেখা পোস্টার সম্পর্কে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কাজি। ওঁর পরিচালনা, তদারকিতেই নির্বাচনে লড়াই হবে। আমরাই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির একমাত্র বিকল্প, কংগ্রেসই মানুষের ইস্যুতে রাস্তায় নেমে লড়েছে, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি নয়। প্রিয়াঙ্কাকে মুখ হিসাবে দেখিয়ে ‘ইউপি মে আ রহি হ্যায় কংগ্রেস’ স্লোগান লেখা পোস্টারও তৈরি হচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র অংশু অবস্থির দাবি, আমাদের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীজিই একমাত্র সততার সঙ্গে মানুষের কথা বলছেন। করোনাকালে মানুষের ইস্যু তুলে ধরা থেকে শুরু করে বিপদগ্রস্ত লোকজনকে সাহায্য দেওয়া— সবসময় সামনে থেকেছেন তিনি। বিজেপি, সপা, বিএসপি জাতপাত, ধর্ম নিয়েই রাজনীতি করছে, ওদের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই, কংগ্রেসই একমাত্র উন্নয়নের কথা বলছে, এটা মানুষও বুঝতে পারছেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে ‘কেরালা মডেল’ অনুসরণের কথাও ভাবছে বলে শোনা যাচ্ছে। কেরালা মডেল মানে টিকিট বন্টনে যুবদের অগ্রাধিকার দেওয়া। কংগ্রেস সূত্রের খবর, যুবদের ওপর নিঃসন্দেহে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ২০২১ এর শুরুতে কেরালা বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ৫০ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ছিল ৫০ এর নীচে। উত্তরপ্রদেশেও তারা ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সসীমার মধ্যে টিকিট দেওয়ার প্ল্যান করছে যাতে যুবসমাজকে পাশে টানা যায়।