আবারও জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁর বিহারের মসনদে বসার সময় কাল থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সেভাবে সদ্ভাব দেখা যায়নি নীতীশ কুমারের। মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও জেডিইউ বা বিজেপি তা কখনও স্বীকার করেনি। এদিকে,সেই সদ্ভাব না থাকার রেশ যে বছর ঘুরতেও একই রয়েছে তা ফের একবার প্রমাণ করে দিল নীতীশ কুমারের বক্তব্য।
কয়েকদিন আগেই জাতির ভিত্তিতে জনগণনা নিয়ে কেন্দ্র নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার জানিয়েছে, জাতিভিত্তিক জনগণনা করা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র এবিষয়ে নিজের নীতি নির্ধারণ নিয়ে অবস্থান আরও জোরালো করেছে।
এই ঘটনার ঠিক ৩ দিন পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বললেন, ‘যৌথভাবে আমরা আমাদের দাবি রেখেছি। আদালতে আর্থক সামাজিক জাতিভত্তিক জনগণনার নিরিখে এই ইস্যু ফের একবার উঠে এসেছে। তবে আমাদের দাবির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। একই সঙ্গে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ‘জাতি ভিত্তিক জনগণনাকে ফের একবার পুনর্বিবেচনা করা হোক। জাতিভিত্তিক জনগণনা কার হোক। ‘
এই ইস্যুতে জেডিইউ এনডিএ থেকে জেডিইউ সরে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নীতীশ সাফ জানিয়েছেন যে, ‘এই বিষয়ে আলোচনা করার কোনও অর্থ নেই। আমরা একসঙ্গে বসে ভবিষ্যতের রোডম্যাপ তৈরি করব। যদি ভালো করে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে এটি (জাতিভিত্তিক জনগণনা) শুধু আমাদের চাহিদা নয়। এটা এটা বহু রাজ্যেরই চাহিদা। এটা দেশের স্বার্থে করা হচ্ছে।’
এদিকে, ধীরে ধীরে জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে যে নীতীশের পার্টি সরগরম হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে একটি ১০ দলের সর্বদলীয় বৈঠক রয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে জাতিভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে নীতিশের জেডিইউ এর পরম বিরোধী লালু প্রসাদের আরজেডিও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এই ১০ টি দলের প্রতিনিধিরা ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে বলে জানা গিয়েছে।