বাংলার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণাবর্ত। শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপের চেহারা নেবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। আজ থেকেই অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে। নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ ভবনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। জরুরিকালীন অবস্থার জন্য টোল ফ্রি নম্বরও চালু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ও আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি সহ কলকাতায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগাম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আগেই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। আজ সকাল থেকে বিদ্যুৎ ভবনে কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ কুমার, সিএমডি শান্তনু বোস ও বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের অন্যান্য অধিকর্তারা।
জানা গেছে, আজ থেকে তিন দিনের জন্য খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হবে। গ্রাহকদের এসএমএস করেও জানানো হয়েছে। আজ থেকে বৃহস্পতিবার অবধি প্রতিটি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হতে পারে। জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সমন্বয় তৈরি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পৌরনিগম, জেলা পরিষদ, ও সিইএসসিকে পোষ্ট, ফিডার বক্স, মিটার বক্স ও বিদ্যুতের তার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশিকা পাঠান হয়েছে।
জরুরিকালীন অবস্থার জন্য ১৮৮৯ টি মোবাইল ভ্যান তৈরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কন্ডাক্টর, কেবল এবং ট্রান্সফর্মার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে টোল ফ্রি নম্বর ১৯১২১ এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪ চালু করা হয়েছে। এই নম্বরে ফোন করে যে কেউ তাদের সমস্যার কথা ছবি সহ জানাতে পারবেন। আজ রাত সাড়ে দশটার সময় আবার বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ট্রান্সফর্মার, ফিডার বক্স, সাব-স্টেশনে জল জমে থাকলে সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ চালু করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।