উপনির্বাচনের আগে শেষবেলার প্রচারে সোমবার সকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা ভবানীপুরে। বিজেপির ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বাধে সেখানে। কখনও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে। আবার কখনও দিলীপ ঘোষকে ঘেরাও করে শুরু হয় অশান্তি। যদিও দুপুর গড়ালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে তারপরই সেখানে গিয়ে পৌঁছন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। জিপে চেপে শেষবেলার প্রচারে ঝড় তুলে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘ভবানীপুরকে শীতলকুচি হতে দেব না। যারা চেষ্টা করবে ফালা ফালা হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, চেতলার কর্মীসভাতেই ‘কালারফুল’ মদনের কাঁধে ভোট প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঁপেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘পাড়াটা তুমিই দেখবে। ধুতি পাঞ্জাবি পরে ভোট প্রচার করবে।’ সেই মতই ভবানীপুরে একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন মদন। শেষবেলার প্রচারেও চমক রাখলেন তিনি। সিবিআইয়ের ডাকে দুপুর পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সেই তাঁর কেটেছে। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে মোটে নষ্ট না করেই ধোপধুরস্ত পাঞ্জাবি পায়জামা, চোখে রোদচশমা পরে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই মদন মিত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিছুক্ষণ আগে ভবানীপুরের যে অবস্থা ছিল, তা নিয়ে তিনি কী বলবেন।
তাঁর জবাব, ‘এখন তো কিছু বলার নেই। যা বলার ৩০ তারিখ মানুষ বলবেন। আর ভবানীপুরের মানুষ বুঝিয়ে দেবেন, জনাদেশ কী, গণতন্ত্র কাকে বলে। আর শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ কী বলল এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই আমি মনে করি না। তবে ভবানীপুরের মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কী সুন্দর শান্তি দেখুন। বাজার চলছে, দোকান খোলা। একটা শান্তিকামী জায়গা এটা। শান্তিপূর্ণ এলাকাকে অশান্ত করার জন্য এসব চেষ্টা। এর যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ৩০ তারিখ আমরা প্রস্তুত।’ মদনের হুঁশিয়ারি, ‘ভবানীপুরকে কুচি করবে? শীতলকুচি করবে? ফালাকাটা করবে? এখানে ফালা ফালা করে কাটা হয়ে যাবে। এখানে শীতলকুচি মানে বরফ লাগবে না। এমনি ঠান্ডা হয়ে যাবে।’