জাতিগত জনগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কার্যত এই ধরনের জনগণনার বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্র। একথা চাউড় হতেই এনডিএ শরিক ও বিহারের রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরব হয়েছেন লালু প্রসাদও। ‘পাখি, জন্তু, গাছ সব গোনা হবে আর শুধু অন্যান্য পিছিয়ে পড়়া জাতি ও অত্যন্ত পিছিয়ে পড়াদের গুনতে এত আপত্তি! পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে বিজেপি আরএসএসের এত অনীহা কেন? জাতিগত গণনা হলে অনেকের উপকার হবে। এতে যথাযথ জনবিন্যাস সম্পর্কে ধারনাও পাওয়া যাবে।’ হিন্দীতে টুইট করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব। এদিকে জাতিগত জনগণনা ইস্যুতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব আবার সময়সীমাও বেঁধে দিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাস্ট সেনসাসের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। তিনদিনের মধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সময় দিচ্ছি। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে লড়াইটাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ কংগ্রেস মুখপাত্র রাজেশ রাঠোর বলেন, ‘মানুষের ভাবাবেগ নাকি বিজেপি, কার সঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী থাকবেন সেটা পরিষ্কার করে দিন।’
এনডিএ শরিক, তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাজি বলেন, ‘সর্বদলীয় মিটিংয়ে কাস্ট সেনসাস করার ব্যাপারে সব ঠিক হয়ে গেল। তারপরেও কেন সিদ্ধান্ত অনুসারে এফিডেভিট জমা হল না এটাই বুঝতে পারছি না। আমরা ফের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বলছি।’ শাসক দল জনতা দল(ইউনাইটেড)এর সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং বলেন, ‘জনগণনা তো শুরুই হয়নি। কেন্দ্র শুধু আদালতের কাছে তার দৃষ্টিভঙ্গিটা পেশ করেছে।’
বিহার বিজেপির ইউনিট সভাপতি ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘আর্থ সামাজিক, জাতিগত জনগণনা কয়েকবছর আগেই তো হয়েছিল। কেন এখন করা হচ্ছে না তার কারণটা এফিডেভিটে বলেছে কেন্দ্র। ’