সব কিছু ঠিক থাকলে এবার হয়তো বাজারে আসবে কোভিড-১৯ ট্যাবলেট। ঔষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি চেষ্টা করছে এবার করোনা প্রতিরোধকারী ঔষুধ বাজারে আনতে। যদি সেটা হয়, তাহলে সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতো অসুখের ক্ষেত্রে যেমন ঔষুধ কিনে খাওয়া যায়, তেমন ভাবেই করোনার ঔষুধও বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে। সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন মার্কিন গবেষকরা। শুরু হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
পিছিয়ে নেই জাপানও। জাপানি সংস্থা শিওঙ্গি গত জুলাই থেকেই শুরু করে দিয়েছে করোনাভাইরাস পিলের প্রথম দফার ট্রায়াল। তবে সব ট্রায়াল চালিয়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে বাজারে এই ঔষুধ আনতে আনতে ২০২২ সালের শেষদিক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
মার্কিন সংস্থা মেরেক ‘মলনুপিরাভির’ নামের এক অ্যান্টিভাইটাল ঔষুধ নিয়ে কাজ করছে। ‘রিজব্যাক বায়োথার্পিউটিক্স’ নামের এক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই ঔষুধ তৈরি হয়েছে। সারা পৃথিবী জুড়েই ঔষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এমনকী, জাপানেও সেই ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, অক্টোবরের মধ্যেই ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা সফল হলেই মিলতে পারে ছাড়পত্র। সংস্থার আশা, বছরের শেষেই আপৎকালীন ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে এই ঔষুধের। তার মাসখানেকের মধ্যে জাপানেও শুরু হয়ে যেতে পারে তার ব্যবহার।
পিছিয়ে নেই ফাইজারও। ইতিমধ্যেই দুই ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ঔষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে তারাও। এর মধ্যে একটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে নেওয়ার। অন্যটি খাওয়ার। এই দু’টি ঔষুধই সার্সের প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় ২০০২ সালে। সেই ঔষুধকেই এবার করোনা রোগীদের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফাইজার।
তবে যে সব রোগীর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার প্রয়োজন নেই, তেমন মৃদু উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহারের উপযোগী হবে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ঔষুধের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সদর্থক ফলাফল মিললে আগামী বছরের গোড়া থেকেই শুরু হয়ে যাবে এর ব্যবহার।