দুর্যোগের সম্ভাবনা প্রকোট হতেই সব দফতরের কর্মীর ছুটি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতিল করল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শনিবার এই মর্মে একটি নির্দেশ জারি করেছেন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে জেলাগুলিতে। এদিকে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার রাজ্যে এসেছে দুটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের এই দল দুটি বন্যা পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবে। দুটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করবে তারা। একটি দল যাবে হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরে এবং হুগলির আরামবাগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে যাবে অন্যটি।
নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দিল্লীর মৌসম ভবন বিশেষভাবে সতর্ক করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাকে। ওই দুই রাজ্যে আইলা-আমফান-ইয়াসের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের সময়।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্তা গণেশ দাস জানান, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়টির পোশাকি নাম ‘গুলাব’। রবিবার সেটি ওড়িশা বং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে। তার প্রভাবে বাংলায় পূর্ব মেদিনীপুরে ভালো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার রাজ্যে বৃষ্টি মোটের উপর ভালোই হয়েছে। ফলে খাল-বিল-নদী-নালা সব ভরে রয়েছে। এখন ভারী বৃষ্টি হলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হওয়া অসম্ভব তো নয়ই বন্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুজোর মুখে সম্ভাব্য বিপর্যয় কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে শুক্রবার থেকে নবান্নে দফায় দফায় বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব।
বাংলায় ঝড়ের প্রকোপ তেমন না থাকলেও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্য। বর্ষা বিদায় কালে প্রবল বৃষ্টিপাতের পরিনতি বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে ধরে নিয়ে শুধু বিপর্যয় মোকাবিলা নয়, সব দফতরেরই কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব।