পাঞ্জাবের পর কি এবার রাজস্থান? আরও এক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল করবে কংগ্রেস? শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহুল গান্ধীর বাসভবনে দেখা করতে এসেছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। দীর্ঘ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
বৈঠক শেষে কোনও পক্ষই এই নিয়ে মুখ না খুললেও গত এক সপ্তাহে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শচীনের দ্বিতীয় বৈঠকের পর রাজস্থানে পালাবদলের জল্পনাই ঘুরছে রাজনৈতিকমহলে। বর্ষীয়ান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে শচীনের মতানৈক্য নতুন কিছু নয়। গত বছর দুই নেতার দ্বৈরথ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, সরকার টেকাতে কালঘাম ছুটে যায় হাইকমান্ডের। দেখার শুধু তারুণ্যে প্রাধান্য দিয়ে মরুরাজ্যেও মা সোনিয়ার কাছের নেতাকে সরিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠ তরুণ শচীনকে মসনদে বসান কিনা রাহুল। তবে, গতকালের বৈঠকের পর রাজস্থানে যে মন্ত্রিসভার রদবদল হতে চলেছে সেটা স্পষ্ট। শোনা যাচ্ছে, আপাতত গেহলটের মন্ত্রিসভায় বেশি করে জায়গা দেওয়া হবে পাইলট ঘনিষ্ঠদের।
আসলে, বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন শচীন পাইলট। সেসময় কংগ্রেস শিবিরে ফিরে আসার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দেন তিনি। যা এখনও পূরণ হয়নি বলে দাবি তাঁর শিবিরের বিধায়কদের। সেসময় পাইলটের দাবি নিয়ে গেহলটের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। সেই কমিটি দু’পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করেছে। আপাতত পাইলট শিবিরকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে কমিটি। কিন্তু ইদানিং পাইলট নিজেও দাবি পূরণের জন্য বারবার গান্ধীদের কাছে দরবার করছেন। গত দিন কয়েকের মধ্যেই দু’বার তিনি দেখা করেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। তবে, কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠক মূলত ছিল গুজরাত নিয়ে। রাহুল চাইছেন শচীনকেই রাজস্থানের প্রচারের দায়িত্ব দিতে। যদিও শচীন এখনও রাজস্থানের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে গররাজি।